পাক ভারত উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা রাজ্যের জমিদার মহারাজা বীর বিক্রম রাধা কিশোর মানিক্য বাহাদুরের চাকলা রৌশনাবাদ এষ্টেটের অন্তর্গত মহারাজার অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে আখাউড়া সদর হতে ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত মোগড়া রাজকাচারী ও আখাউড়াস্থ তহশীল কাচারীর মাধ্যমে জমিদারীর যাবতীয় খাজনাদি আদায়সহ জমিদারী ব্যবস্থা কার্যাদি পরিচালিত হত। এছাড়াও মহারাজার জমিদারীর দ্বিতীয় রাজধানী কুমিল্লা রাজবাড়ীতে যাতায়তের জন্য আখাউড়া-আগরতলা সড়কের মাধ্যমে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের ট্রেনযোগে যাতায়তের পথে সপরিবারে আখাউড়া কাচারীতে অবস্থান করতেন। স্বাভাবিক কারণেই এ অঞ্চলের গুরুত্ব মহারাজার কাছে ছিল অধিক। তাই তিনি এ অঞ্চলের রাধানগরে রাধামাধবের আখড়া, দূর্গাপুরে দূর্গাদেবীর আখড়া,মোগড়া হাওড়া নদীর পাড়ের আখড়া, মনিয়ন্দের আখড়া ইত্যাদি নিজ খরচে নির্মাণ করে দেন। সে সময়ে এ অঞ্চলে আখড়ার আধিক্যের কারণে এটি কালক্রমে আখাউড়া নামে পরিচিতি লাভ করে। এছাড়া এটি তৎসময়ের পূর্ববঙ্গের প্রবেশদ্বার বলে পরিচিতি লাভ করে।
বর্তমান বাংলাদেশে আখাউড়া বাংলাদেশের সর্ব পূর্ব দিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা সীমান্তবর্তী স্থানে অবস্থিত। এর উত্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা, দক্ষিনে কসবা উপজেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পশ্চিমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এবং কসবা উপজেলা । এ উপজেলার বেশীরভাগ ভূমি উচু পাহাড়িয়া টিলাভূমি এবং অবশিষ্ট ভূমি সমতল নিম্ন ভূমি অধ্যূষিত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস